ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক
ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক কি ? আলগা মোমিন হলে বলতেন, কেন ? ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মত হবে।
স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৈরি হয়েছে জাতীয় ঐক্য। ঐক্য-ই সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর কার্যকর শক্তি। জাতিসংঘের ২৯৫ দেশের মধ্যে সব(কৃষি জাত খাবার, মাছ, গ্যাস, পান যোগ্য পানি, বনজ সম্পদ, নদী, সমুদ্র (জাহাজ ভিডার জন্য (চট্রগ্রাম+মঙলা))) কিছুতে স্বয়ংসম্পুর্ন দেশের সংখ্যা মাত্র ১৫/২০ টা। আলহামদুলিল্লাহ্ বাংলাদেশ তার মধ্যে একটা। বাংলাদেশ এর অর্থনীতি পৃথিবীর ৮ম অর্থনীতি । ভারতের মত পরীক্ষিত শত্রু আমাদের অর্থনীতি এবং চিকিৎসা সেবা দেবেনা বলেছে তাদের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং মেমেইনস্ট্রিম মিডিয়া।শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু বাকী। আপনাদের লম্ফ জম্ফ আমাদের দেশের একটা ছাগলো বুজে (আওয়ামীলীগ ছাড়া) ১০/১২ বিলিয়ল ডলার এর ব্যবস্যা আপনারা এতো সহজে ছেড়ে দিবেন। আপনারা কচু করতে পারবেন না। লিস্ট করলে আপনাদের বাংলাদেশকে লুটেপুটে খাচ্ছেন এমন ১০০ বেশী লিস্ট করতে পারবো। আজ ১০ টা বাঁশ দিলাম বাকী ৯০ টার জন্য অপেক্ষা করুণ।
১। চট্টগ্রাম, মংলা এক প্রকার ফ্রী ব্যবহার।
২। সকল নদীর আন্তর্জাতিক পানি চুক্তি লঙ্ঘন।
৩। ২০০ টাকার /কেজি কয়লা আদানী নেয় ৪০০ টাকা। প্লান্ট ব্যবহার না করলেও টাকা দিতে হবে।
৪। সীমান্তে ১৫ বছরে ছয় শতাধিক হত্যা (আপনাদের পা চাটা গোলাম বসুন্ধরার কালের কণ্ঠ থেকে নেয়া। ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ fact cheak করতে পারেন । লিঙ্কও দিলামঃ https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2024/09/14/1425264 ) পৃথিবীর ইতিহাসে এই রকম নজির আর নাই।
৫। আমাদের আকাশ ও সমুদ্র সীমা নজরদারি করেন আপনারা।
৬। আমাদের দেশের একটা সূচ তোদের দেশে বিক্রি করা যাবে না অথচ আপনারা ১০/১২ বিলিয়ল ডলার ব্যবস্যা করেন।
৭। ব্যংক এর প্রায় ৪০% সফটওয়ার আপনাদের। কেনো রে ভাই ??
৮। ৫৩ বছর ধরে আপনাদের পা চেটেও বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২০ কিমি পথ নেপাল এর করিডর আপনারা দেন নাই অথছ বাংলাদেশ এর সব রাস্তা আপনাদের জন্য উন্মক্ত। রেল পথে কোন পণ্য গেলে তার মধ্যে কি আছে দেখার অধিকার আমাদের নাই।
৯। বাংলাদেশের সব দল জঙ্গি আওয়ামীলীগ ছাড়া তাই না?
১০। পৃথিবীর অধিকাংশ জানেন্ট কোম্পানি (google, facebook, amazon সহ প্রায় সব আপনাদের আধিক্য বেশী তাই এশিয়ার দেশ গুলোর গলা চেপে ধরেছেন এবং IT Industry তে অন্য দেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করেছেন।) Continue——–ইনশাআল্লহ।
না বলে আর পারলাম না । আপনাদের পররাষ্ট্রনীতি আমরা ঘৃনা করি। ৫৩ বছরের ঘৃনা। বাংলার মানুষের এই ঘৃনা আপনাদেরই মুছতে হবে।
বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী এমন কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো:
- তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি: তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চললেও এখনো কোনো চুক্তি হয়নি, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
- ফারাক্কা বাঁধের প্রভাব: ফারাক্কা বাঁধের কারণে পদ্মা নদীর পানিপ্রবাহ কমে গেছে, যা বাংলাদেশের পরিবেশ ও কৃষিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।
- সীমান্তে হত্যাকাণ্ড: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
- বাণিজ্য ঘাটতি: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
- ট্রানজিট সুবিধা: ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া হলেও, এর বিনিময়ে বাংলাদেশ পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে না বলে সমালোচনা রয়েছে।
- ভারতীয় পণ্য আমদানি: ভারতীয় পণ্যের অবাধ আমদানির ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
- সীমান্তে চোরাচালান: সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: ভারতের সহায়তায় সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে, যা পরিবেশবিদদের মতে, বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি।
- ভারতীয় সিরিয়ালের প্রভাব: ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের প্রচারের ফলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সামাজিক মানসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
- ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শন: বাংলাদেশে ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শন স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
- ভারতীয় ওষুধের আমদানি: ভারতীয় ওষুধের আমদানির ফলে দেশের ওষুধ শিল্প প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
- ভারতীয় কৃষিজ পণ্যের আমদানি: ভারত থেকে কৃষিজ পণ্য আমদানির ফলে দেশের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
- ভারতীয় বিনিয়োগের শর্ত: কিছু ক্ষেত্রে ভারতীয় বিনিয়োগের শর্ত বাংলাদেশের জন্য প্রতিকূল বলে সমালোচনা রয়েছে।
- ভারতীয় ট্রাকের চলাচল: ভারতীয় ট্রাকের বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার দেশের অবকাঠামোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
- ভারতীয় জাহাজের চলাচল: বাংলাদেশের নদীপথে ভারতীয় জাহাজের চলাচল দেশের নৌ-পরিবহন খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
- ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অনুপ্রবেশ: ভারতীয় মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশের ফলে দেশের মৎস্য সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে।
- ভারতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন: ভারতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনের আধিক্য দেশের নিজস্ব পণ্যের প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে।
- ভারতীয় প্রযুক্তির প্রভাব: ভারতীয় প্রযুক্তি ও সফটওয়্যারের ব্যবহার দেশের প্রযুক্তি খাতের বিকাশে বাধা দিচ্ছে।
- ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাব: ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচারণা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলছে।
- ভারতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য: ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশ ভারতের অসম চুক্তি
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও বিতর্ক রয়েছে। কিছু মহল এসব চুক্তিকে ‘অসম’ বা বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করে। নিম্নে এমন কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করা হলো, যেগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়েছে:
- গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (১৯৯৬): এই চুক্তির মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের ব্যবস্থা করা হলেও, বাংলাদেশের কিছু অংশে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
- ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান (২০১০): বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, কারণ এতে বাংলাদেশের সড়ক ও অবকাঠামোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
- রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প (২০১০): ভারতের সহযোগিতায় সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবেশবিদদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য হুমকি হতে পারে।
- তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (অমীমাংসিত): তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চললেও এখনো কোনো চুক্তি হয়নি, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
- বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক (২০১৭): এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও, কিছু মহল এটিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।
- বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ চুক্তি (২০২৪): ডিজিটাল খাতে সহযোগিতার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, কিছু সমালোচক মনে করেন এতে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
- বাংলাদেশ-ভারত গ্রিন পার্টনারশিপ চুক্তি (২০২৪): পরিবেশ সংক্রান্ত এই চুক্তি নিয়ে কিছু মহল সন্দেহ প্রকাশ করেছে, কারণ এতে বাংলাদেশের পরিবেশগত স্বার্থ সুরক্ষিত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
- বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র সহযোগিতা ও ব্লু-ইকোনমি সমঝোতা স্মারক (২০২৪): সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারে এই সমঝোতা স্মারক নিয়ে কিছু মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এতে বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- ভারতের ইন-স্পেস ও বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক (২০২৪): মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে এই সমঝোতা স্মারক নিয়ে কিছু সমালোচনা রয়েছে, কারণ এতে বাংলাদেশের মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর ভারতের প্রভাব বাড়তে পারে।
- বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগ সমঝোতা স্মারক (২০২৪): রেল সংযোগ বাড়ানোর এই সমঝোতা স্মারক নিয়ে কিছু মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এতে বাংলাদেশের রেল অবকাঠামোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
লেখক ও শিক্ষক
মেহেদী হাসান