Data Transmission Medium
Data Transmission Medium ( ডাটা কমিউনিকেশনের মিডিয়াম) বলতে বোঝায় সেই মাধ্যম যার সাহায্যে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে মিডিয়ামকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
- Wired Medium (তারের মাধ্যমে যোগাযোগ)
- Wireless Medium (বেতার যোগাযোগ)
তবে Wired Medium আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
- Coaxial Cable
- Twisted Pair Cable
- Optical Fiber
1. Coaxial Cable (কোক্সিয়াল কেবল)
সংজ্ঞা:
কোক্সিয়াল কেবল হলো একটি তামার তারের তৈরি কেবল যার কেন্দ্রে একটি কন্ডাক্টর থাকে এবং এটি ইনসুলেশন (বিচ্ছিন্নকরণ পদার্থ), মেটাল শিল্ডিং এবং বাইরের আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।
গঠন (Structure):
- Center Conductor: কেন্দ্রে থাকে তামার তৈরি কন্ডাক্টর।
- Insulation Layer: কন্ডাক্টরকে ঢেকে রাখে এবং অন্য স্তর থেকে আলাদা করে।
- Metal Shield: ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স (EMI) কমাতে সাহায্য করে।
- Outer Covering: বাইরের প্রটেকশন হিসেবে কাজ করে।
বৈশিষ্ট্য:
- ডেটা উচ্চ গতিতে পাঠাতে পারে।
- EMI প্রতিরোধী (Electromagnetic Interference)।
- একে লম্বা দূরত্বে ব্যবহার করা যায়।
ব্যবহার:
- ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে।
- ইন্টারনেট সংযোগে।
- অডিও-ভিডিও ট্রান্সমিশনের জন্য।
2. Twisted Pair Cable (টুইস্টেড পেয়ার কেবল)
সংজ্ঞা:
টুইস্টেড পেয়ার কেবল হলো দুটি তামার তার একে অপরের চারপাশে পেঁচানো থাকে যাতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স কম হয়।
প্রকারভেদ:
- UTP (Unshielded Twisted Pair):
- কোনো অতিরিক্ত শিল্ডিং থাকে না।
- কম খরচে সহজলভ্য।
- উদাহরণ: ইথারনেট ক্যাবল (CAT5, CAT6)।
- STP (Shielded Twisted Pair):
- অতিরিক্ত শিল্ডিং থাকে, যা EMI প্রতিরোধ করে।
- বেশি ব্যয়বহুল।
বৈশিষ্ট্য:
- স্বল্প দূরত্বে যোগাযোগের জন্য উপযুক্ত।
- ইনস্টল করা সহজ এবং খরচ কম।
- বিভিন্ন নেটওয়ার্কে (LAN, Telephone) ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার:
- টেলিফোন লাইন।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্কে (LAN – Local Area Network)।
- ইন্টারনেট সংযোগের জন্য।
3. Optical Fiber (অপটিক্যাল ফাইবার)
সংজ্ঞা:
অপটিক্যাল ফাইবার হলো একটি আধুনিক কেবল যা ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য আলো ব্যবহার করে। এতে কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি ফাইবার ব্যবহার করা হয়।
গঠন (Structure):
- Core: কেন্দ্রীয় অংশ, যেখানে আলো প্রবাহিত হয়।
- Cladding: কোরকে ঘিরে থাকে, যা আলোকে ভেতরে প্রতিফলন ঘটাতে সাহায্য করে।
- Buffer Coating: বাহ্যিক স্তর যা ফাইবারকে রক্ষা করে।
বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চ গতি: প্রচুর পরিমাণে ডেটা দ্রুত গতিতে প্রেরণ করা যায়।
- দীর্ঘ দূরত্বে কার্যকরী: কোনো সিগন্যাল ক্ষতি ছাড়াই অনেক দূরত্বে ডেটা পাঠানো যায়।
- কম ক্ষতি (Low Attenuation): ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় সিগন্যালের ক্ষতি কম হয়।
- EMI মুক্ত: ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্সের কোনো প্রভাব পড়ে না।
ব্যবহার:
- ইন্টারনেট ব্যাকবোন হিসেবে।
- টেলিযোগাযোগে।
- কেবল টিভি এবং ভিডিও সম্প্রচারে।
- হাসপাতাল বা গবেষণাগারে বিশেষ যন্ত্রপাতিতে।
তুলনামূলক চিত্র
প্রকার | গঠন | গতি | ব্যবহার | খরচ |
---|---|---|---|---|
Coaxial Cable | কেন্দ্রীয় কন্ডাক্টর এবং শিল্ডিং | মাঝারি গতি | টিভি, ইন্টারনেট | কম |
Twisted Pair Cable | পেঁচানো তামার তার | স্বল্প-মাঝারি গতি | LAN, টেলিফোন লাইন | খুব কম |
Optical Fiber | কাচ বা প্লাস্টিক ফাইবার | উচ্চ গতি | ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ | বেশি |
Wireless Medium বলতে বোঝায় এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে ডেটা তার ছাড়া বায়ুর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। এই যোগাযোগে তরঙ্গ (Waves) ব্যবহৃত হয়। বেতার যোগাযোগে মূলত তিনটি মাধ্যম ব্যবহৃত হয়:
- Infrared (ইনফ্রারেড)
- Radio Waves (রেডিও তরঙ্গ)
- Microwave (মাইক্রোওয়েভ)
1. Infrared (ইনফ্রারেড)
সংজ্ঞা:
ইনফ্রারেড হলো একটি অদৃশ্য আলোক তরঙ্গ যা Electromagnetic Spectrum-এর অংশ এবং দৃশ্যমান আলোর চেয়ে দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট।
বৈশিষ্ট্য:
- পরিসীমা (Range): সংক্ষিপ্ত দূরত্বে কাজ করে (প্রায় ৫ মিটার পর্যন্ত)।
- বাধাপ্রাপ্ত হয়: দেয়াল বা শক্ত বস্তু পার হতে পারে না।
- সরাসরি দৃশ্যরেখা (Line of Sight): ইনফ্রারেড যোগাযোগে ডিভাইসগুলোর মধ্যে সরাসরি দৃশ্যরেখা প্রয়োজন।
ব্যবহার:
- রিমোট কন্ট্রোল: টিভি, এসি ইত্যাদির রিমোট কন্ট্রোলে ইনফ্রারেড ব্যবহার করা হয়।
- ডিভাইস সংযোগ: স্মার্টফোন, কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল ট্রান্সফারের জন্য।
- ইনফ্রারেড সেন্সর: স্বয়ংক্রিয় দরজা বা মোশন ডিটেকশনে।
2. Radio Waves (রেডিও তরঙ্গ)
সংজ্ঞা:
রেডিও তরঙ্গ হলো Electromagnetic Waves এর একটি অংশ যা দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য (1 মিমি থেকে 100 কিলোমিটার পর্যন্ত) এবং কম ফ্রিকোয়েন্সি বিশিষ্ট।
বৈশিষ্ট্য:
- পরিসীমা (Range): স্বল্প থেকে দীর্ঘ দূরত্ব পর্যন্ত কার্যকরী।
- প্রতিবন্ধকতা পার হয়: দেয়াল বা বিভিন্ন বস্তু পার হতে পারে।
- বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড: রেডিও তরঙ্গ বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জে বিভক্ত যেমন: AM, FM, VHF, UHF।
ব্যবহার:
- রেডিও সম্প্রচার: AM এবং FM রেডিওর মাধ্যমে অডিও সম্প্রচার।
- ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক: Wi-Fi, ব্লুটুথ প্রযুক্তি।
- টেলিভিশন সম্প্রচার: রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে টিভি সিগন্যাল প্রেরণ।
- মোবাইল কমিউনিকেশন: মোবাইল নেটওয়ার্কে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
3. Microwave (মাইক্রোওয়েভ)
সংজ্ঞা:
মাইক্রোওয়েভ হলো ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট Electromagnetic Wave যার ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ 1 GHz থেকে 300 GHz পর্যন্ত।
বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি: রেডিও তরঙ্গের চেয়ে বেশি ফ্রিকোয়েন্সি বিশিষ্ট।
- সরাসরি দৃশ্যরেখা (Line of Sight): যোগাযোগের জন্য দুই ডিভাইসের মধ্যে সরাসরি দৃশ্যরেখা প্রয়োজন।
- সংক্ষিপ্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্য: এটি কম দূরত্বে বেশি ডেটা পাঠাতে সক্ষম।
- বাধাপ্রাপ্ত হয়: শক্ত বস্তু বা আবহাওয়া যেমন বৃষ্টি, কুয়াশার কারণে সিগন্যালের গুণগত মান কমে যেতে পারে।
ব্যবহার:
- স্যাটেলাইট যোগাযোগ: স্যাটেলাইট থেকে টিভি, ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সিগন্যাল প্রেরণে।
- মাইক্রোওয়েভ লিংক: টেলিযোগাযোগে টাওয়ার-থেকে-টাওয়ার যোগাযোগে।
- Wi-Fi ও Bluetooth: স্বল্প দূরত্বে তারহীন ডেটা আদান-প্রদানে।
- রাডার (Radar): বিমান, নৌবাহিনী ও আবহাওয়া পূর্বাভাসের জন্য।
তুলনামূলক চিত্র
মাধ্যম | তরঙ্গদৈর্ঘ্য | পরিসীমা (Range) | প্রয়োজনীয়তা | ব্যবহার |
---|---|---|---|---|
Infrared | 700 nm – 1 mm | স্বল্প দূরত্ব | সরাসরি দৃশ্যরেখা | রিমোট কন্ট্রোল, সেন্সর |
Radio Waves | 1 মিমি – 100 কিমি | স্বল্প থেকে দীর্ঘ | দেয়াল পার হতে পারে | রেডিও, টিভি, মোবাইল নেটওয়ার্ক |
Microwave | 1 মিমি – 1 মিটার | মাঝারি দূরত্ব | সরাসরি দৃশ্যরেখা | স্যাটেলাইট, রাডার, Wi-Fi |