SSC Physics board Question || এসএসসি পদার্থবিদ্যা বোর্ডের প্রশ্ন

SerialChapter Nameউত্তরমালা বোর্ডউত্তরমালা বোর্ড
অধ্যায়-১ভৌত রাশি এবং পরিমাপCQ MCQ
অধ্যায়-২গতিCQMCQ
অধ্যায়-৩বলCQMCQ
অধ্যায়-৪কাজ-শক্তি-ক্ষমতাCQMCQ
অধ্যায়-৫পদার্থের অবস্থা ও চাপCQMCQ
অধ্যায়-৬বস্তুর ওপর তাপের প্রভাবCQMCQ
অধ্যায়-৭তরঙ্গ ও শব্দCQMCQ
অধ্যায়-৮আলোর প্রতিফলনCQMCQ
অধ্যায়-৯আলোর প্রতিসরণCQMCQ
অধ্যায়-১০স্থির বিদ্যুৎCQMCQ
অধ্যায়-১১চল বিদ্যুৎCQMCQ
অধ্যায়-১২বিদ্যুতের চৌম্বক ক্রিয়াCQMCQ
অধ্যায়-১৩আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্সCQMCQ
অধ্যায়-১৪জীবন বাঁচাতে পদার্থবিজ্ঞানCQMCQ

প্রশ্ন : স্লাইড ক্যালিপার্সের সাহায্যে একটি তারের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে গিয়ে প্রধান স্কেল পাঠ ৩.২ সেন্টিমিটার পাওয়া গেল এবং ভার্নিয়ার স্কেলের ২০ ঘরের মধ্যে ৫ নম্বর ঘরের দাগটি প্রধান স্কেলের একটি ঘরের সাথে মিলে গেল। অপরদিকে, তারটির ব্যাস মাপতে গিয়ে স্ক্রু গজের রৈখিক স্কেল পাঠ ৪ মিলিমিটার, বৃত্তাকার স্কেল পাঠ ২০ এবং লঘিষ্ঠ গণনা ০.০১ মিলিমিটার পাওয়া গেল।

. পীচ কাকে বলে?

. গাছের পাতা সবুজ দেখায় কেন? ব্যাখ্যা করো।

. তারটির প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।

. তারটিকে একটি পানিভর্তি বিকারে ছেড়ে দিলে কী এটি পরিমাণ পানি অপসারণ করবে? গাণিতিক ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর:

. পীচ হলো স্ক্রু গজের রৈখিক স্কেলে স্ক্রু এক পূর্ণ ঘূর্ণনে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে পীচ বলে।

. গাছের পাতা সবুজ দেখায় কারণ পাতার ক্লোরোফিল রঞ্জক লাল ও নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে এবং সবুজ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলিত করে। ফলে আমাদের চোখে পাতা সবুজ দেখায়।

. প্রথমে তারের ব্যাস নির্ণয় করতে হবে। স্ক্রু গজের রৈখিক স্কেল পাঠ ৪ মিমি এবং বৃত্তাকার স্কেল পাঠ ২০। লঘিষ্ঠ গণনা ০.০১ মিমি।

তাহলে, ব্যাস = রৈখিক স্কেল পাঠ + (বৃত্তাকার স্কেল পাঠ × লঘিষ্ঠ গণনা)

= ৪ মিমি + (২০ × ০.০১ মিমি)

= ৪ মিমি + ০.২ মিমি

= ৪.২ মিমি

= ০.৪২ সেমি

প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, A = πr²

= ৩.১৪ × (০.২১ সেমি)²

= ৩.১৪ × ০.০৪১৪১

= ০.১৩ সেমি²

. তারটির আয়তন নির্ণয় করতে হবে।

আয়তন, V = প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল × দৈর্ঘ্য

= ০.১৩ সেমি² × ৩.২ সেমি

= ০.৪১৬ সেমি³

তাহলে, তারটি পানিতে নিমজ্জিত করলে ০.৪১৬ সেমি³ পরিমাণ পানি অপসারিত হবে।

প্রশ্ন : স্ক্রু গজের সাহায্যে একটি পাত্রের বেধ নির্ণয় করতে গিয়ে রৈখিক স্কেলের পাঠ ৮ মিমি এবং বৃত্তাকার স্কেলের ভাগ সংখ্যা ৪০ পাওয়া গেল। ফলাফলে কিছু ত্রুটিও দেখা গেল।

. পরিমাণ কী?

. শক্তির মাত্রা সমীকরণ নির্ণয় করো।

. পাত্রের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।

. ত্রুটিমুক্ত ফলাফল পাওয়ার জন্য কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে তুমি মনে করো।

উত্তর:

. পরিমাণ হলো কোনো বস্তুর গুণগত ও পরিমাণগত বর্ণনা, যা সংখ্যা ও এককের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

. শক্তির মাত্রা:

শক্তি = কাজ = বল × দূরত্ব

= (ভর × ত্বরণ) × দূরত্ব

= [M] × [LT⁻²] × [L]

= [ML²T⁻²]

. প্রশ্নে পাত্রের বেধ নির্ণয়ের কথা বলা হয়েছে, তবে প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য পাত্রের ব্যাস বা ব্যাসার্ধ জানা প্রয়োজন। এই তথ্য না থাকায় প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

. ত্রুটিমুক্ত ফলাফল পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:

  • যন্ত্রের শূন্য ত্রুটি পরীক্ষা করা।
  • যন্ত্রের লঘিষ্ঠ গণনা জানা।
  • পরিমাপের সময় যন্ত্র সঠিকভাবে ধরে রাখা।
  • একই পরিমাপ কয়েকবার করে গড় মান নেওয়া।

প্রশ্ন :

দুটি গাড়ি A এবং B একই স্থানে থেকে যাত্রা শুরু করে। গাড়ি A সুষম ত্বরণে চলতে শুরু করে এবং গাড়ি B সুষম বেগে চলে। নির্দিষ্ট সময় পরে গাড়ি A, গাড়ি B-কে অতিক্রম করে।

. ত্বরণ কাকে বলে?

. সুষম বেগ ও সুষম ত্বরণের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।

. গাড়ি A-এর ত্বরণ ২ মিটার/সেকেন্ড² এবং গাড়ি B-এর বেগ ২০ মিটার/সেকেন্ড হলে, কত সময় পরে গাড়ি A, গাড়ি B-কে অতিক্রম করবে?

. উপরোক্ত সময়ে গাড়ি A-এর বেগ কত হবে?

উত্তর:

. ত্বরণ হলো বেগের পরিবর্তনের হার। অর্থাৎ, কোনো বস্তুর বেগ সময়ের সাথে পরিবর্তিত হলে, সেই পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে।

. সুষম বেগ হলো যখন কোনো বস্তু সময়ের সাথে একই বেগে চলে, অর্থাৎ বেগের মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকে। সুষম ত্বরণ হলো যখন কোনো বস্তু সময়ের সাথে সমান হারে বেগ পরিবর্তন করে, অর্থাৎ ত্বরণ ধ্রুবক থাকে।

. গাড়ি A-এর জন্য:

s₁ = ½at²

= ½ × ২ × t²

= t²

গাড়ি B-এর জন্য:

s₂ = vt

= ২০t

অতিক্রমের সময় s₁ = s₂

তাহলে, t² = ২০t

t(t – ২০) = ০

t = ২০ সেকেন্ড

. গাড়ি A-এর বেগ:

v = u + at

= ০ + ২ × ২০

= ৪০ মিটার/সেকেন্ড

অতএব, ২০ সেকেন্ড পরে গাড়ি A-এর বেগ হবে ৪০ মিটার/সেকেন্ড।

প্রশ্ন :

একটি বস্তুকে সুষম ত্বরণে উপরের দিকে নিক্ষেপ করা হলো। নির্দিষ্ট সময় পরে বস্তুটি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে।

. অভিকর্ষজ ত্বরণ কী?

. বেগ-সময় গ্রাফ থেকে সরণ কীভাবে নির্ণয় করা যায়?

. বস্তুটির সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছাতে সময় কত লাগবে?

. সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে মাটিতে পড়তে বস্তুটির কত সময় লাগবে?

উত্তর:

. অভিকর্ষজ ত্বরণ হলো পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের কারণে কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল ত্বরণ। এর মান প্রায় ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড²।

. বেগ-সময় গ্রাফে, গ্রাফের নিচের ক্ষেত্রফল সরণের সমান।

. সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছাতে সময়:

v = u – gt

০ = u – ৯.৮t

t = u/৯.৮

. সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে মাটিতে পড়তে সময়:

t = √(২h/৯.৮)

= u/৯.৮

= পূর্বের সময়ের সমান

অতএব, উর্ধ্বগামী ও নিম্নগামী সময় সমান হবে।

প্রশ্ন :

একটি ১০০০ কিলোগ্রাম ভরের গাড়ি স্থির অবস্থা থেকে ৫ সেকেন্ডে ২০ মিটার/সেকেন্ড বেগে পৌঁছায়।

. ত্বরণ কাকে বলে?

. নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রটি ব্যাখ্যা করো।

. গাড়িটির ত্বরণ নির্ণয় করো।

. গাড়িটির উপর প্রযুক্ত বলের মান নির্ণয় করো।

উত্তর:

. ত্বরণ হলো বেগের পরিবর্তনের হার। অর্থাৎ, কোনো বস্তুর বেগ সময়ের সাথে পরিবর্তিত হলে, সেই পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে।

. নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র অনুযায়ী, কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে, বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে। সূত্রটি হলো: F = ma, যেখানে F হলো বল, m হলো ভর, এবং a হলো ত্বরণ।

. ত্বরণ নির্ণয়ের জন্য:

a = (v – u) / t

= (২০ মিটার/সেকেন্ড – ০) / ৫ সেকেন্ড

= ৪ মিটার/সেকেন্ড²

. প্রযুক্ত বলের মান:

F = ma

= ১০০০ কিলোগ্রাম × ৪ মিটার/সেকেন্ড²

= ৪০০০ নিউটন

অতএব, গাড়িটির উপর প্রযুক্ত বলের মান ৪০০০ নিউটন।

প্রশ্ন :

একটি ৫ কিলোগ্রাম ভরের বস্তু একটি মসৃণ সমতল পৃষ্ঠে স্থির অবস্থায় রয়েছে। এতে ১০ নিউটন বল প্রয়োগ করলে বস্তুটি চলতে শুরু করে।

. জড়তা কাকে বলে?

. ঘর্ষণ বল কীভাবে কাজ করে?

. বস্তুটির ত্বরণ নির্ণয় করো।

. বস্তুটি ৫ সেকেন্ডে কত দূরত্ব অতিক্রম করবে?

উত্তর:

. জড়তা হলো বস্তুর সেই ধর্ম, যার কারণে বস্তু তার বর্তমান অবস্থা (স্থিতি বা গতি) বজায় রাখতে চায়।

. ঘর্ষণ বল হলো দুটি বস্তুর সংস্পর্শে তাদের স্পর্শতলে গতির বিপরীতে ক্রিয়াশীল বাধা। এটি বস্তুর গতিকে বাধা দেয় বা প্রতিহত করে।

. ত্বরণ নির্ণয়ের জন্য:

a = F / m

= ১০ নিউটন / ৫ কিলোগ্রাম

= ২ মিটার/সেকেন্ড²

. দূরত্ব নির্ণয়ের জন্য:

s = ut + ½at²

= ০ + ½ × ২ মিটার/সেকেন্ড² × (৫ সেকেন্ড)²

= ০.৫ × ২ × ২৫

= ২৫ মিটার

অতএব, বস্তুটি ৫ সেকেন্ডে ২৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে।

Chapter: 4 ।। অধ্যায়ঃ ৪

প্রশ্ন :

একটি ৫ কিলোগ্রাম ভরের বস্তু ১০ মিটার উচ্চতায় উঠানো হলো।

. কাজ কাকে বলে?

. শক্তি ও কাজের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

. বস্তুটিকে ১০ মিটার উচ্চতায় উঠাতে কত কাজ করা হয়েছে তা নির্ণয় করো।

. উক্ত অবস্থায় বস্তুটির বিভব শক্তি নির্ণয় করো।

উত্তর:

. কাজ হলো বলের দ্বারা কোনো বস্তুকে সরানোর প্রক্রিয়া, যেখানে বলের দিক ও সরণের দিক একই হতে হবে। কাজের পরিমাণ নির্ণয় করা হয় বল ও সরণের গুণফল দ্বারা।

. শক্তি হলো কাজ করার সক্ষমতা। কোনো বস্তু কাজ করতে সক্ষম হলে, বলা হয় যে বস্তুটির শক্তি রয়েছে। কাজ ও শক্তি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত; কাজ করার মাধ্যমে শক্তি হ্রাস পায় এবং শক্তি সঞ্চিত থাকলে কাজ করা যায়।

. কাজ নির্ণয়ের জন্য:

কাজ (W) = বল (F) × সরণ (s)

এখানে, F = m × g = ৫ কিলোগ্রাম × ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড² = ৪৯ নিউটন

তাহলে, W = ৪৯ নিউটন × ১০ মিটার = ৪৯০ জুল

. বিভব শক্তি (Ep) নির্ণয়ের জন্য:

Ep = m × g × h

= ৫ কিলোগ্রাম × ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড² × ১০ মিটার

= ৪৯০ জুল

অতএব, বস্তুটির বিভব শক্তি ৪৯০ জুল।

প্রশ্ন :

একটি মেশিন ২০০০ জুল কাজ ১০ সেকেন্ডে সম্পন্ন করে।

. ক্ষমতা কাকে বলে?

. ক্ষমতার একক কী?

. মেশিনটির ক্ষমতা নির্ণয় করো।

. যদি মেশিনটির ক্ষমতা ২৫০ ওয়াট হয়, তবে এটি ৫ মিনিটে কত কাজ সম্পন্ন করতে পারবে?

উত্তর:

. ক্ষমতা হলো কাজ করার হার, অর্থাৎ একক সময়ে করা কাজের পরিমাণ।

. ক্ষমতার এসআই একক হলো ওয়াট (W)।

. মেশিনটির ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য:

ক্ষমতা (P) = কাজ (W) / সময় (t)

= ২০০০ জুল / ১০ সেকেন্ড

= ২০০ ওয়াট

. কাজ নির্ণয়ের জন্য:

কাজ (W) = ক্ষমতা (P) × সময় (t)

= ২৫০ ওয়াট × ৫ মিনিট

= ২৫০ ওয়াট × ৩০০ সেকেন্ড

= ৭৫০০০ জুল

অতএব, মেশিনটি ৫ মিনিটে ৭৫০০০ জুল কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।

একটি ৫ কিলোগ্রাম ভরের বস্তু ১০ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের একটি বৃত্তাকার পৃষ্ঠের উপর স্থাপন করা হয়েছে।

. চাপ কাকে বলে?

. পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল কীভাবে নির্ণয় করা যায়?

. বস্তুটির দ্বারা পৃষ্ঠের উপর সৃষ্ট চাপ নির্ণয় করো।

. যদি একই ভরের বস্তুটির ভিত্তি ক্ষেত্রফল কমানো হয়, তবে পৃষ্ঠের উপর সৃষ্ট চাপের পরিবর্তন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর:

. চাপ হলো একক ক্ষেত্রফলে লম্বভাবে প্রযুক্ত বলের পরিমাণ। অর্থাৎ, কোনো পৃষ্ঠের উপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বলকে সেই পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল দিয়ে ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়, তাকে চাপ বলে।

. বৃত্তাকার পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য πr² সূত্র ব্যবহার করা হয়, যেখানে r হলো বৃত্তের ব্যাসার্ধ।

. প্রথমে বৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করি:

r = ব্যাস / ২ = ১০ সেমি / ২ = ৫ সেমি = ০.০৫ মিটার

তাহলে, পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল:

A = πr² = ৩.১৪ × (০.০৫ মিটার)² = ৩.১৪ × ০.০০২৫ = ০.০০৭৮৫ মিটার²

এখন, বস্তুটির ওজন (প্রযুক্ত বল):

F = m × g = ৫ কিলোগ্রাম × ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড² = ৪৯ নিউটন

তাহলে, পৃষ্ঠের উপর সৃষ্ট চাপ:

P = F / A = ৪৯ নিউটন / ০.০০৭৮৫ মিটার² ≈ ৬২৩৮.৮৭ পাস্কাল

. যদি একই ভরের বস্তুটির ভিত্তি ক্ষেত্রফল কমানো হয়, তবে পৃষ্ঠের উপর সৃষ্ট চাপ বৃদ্ধি পাবে। কারণ, চাপ (P) = বল (F) / ক্ষেত্রফল (A) অনুযায়ী, যখন ক্ষেত্রফল কমে, তখন চাপ বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন :

একটি ১০০ সিসি আয়তনের বস্তু পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। বস্তুটির ভর ০.৮ কিলোগ্রাম।

. আপেক্ষিক ঘনত্ব কাকে বলে?

. আর্কিমিডিসের সূত্র ব্যাখ্যা করো।

. বস্তুটির ঘনত্ব নির্ণয় করো।

. বস্তুটি পানিতে ভাসবে না ডুববে তা নির্ণয় করো।

উত্তর:

. আপেক্ষিক ঘনত্ব হলো কোনো বস্তুর ঘনত্বের সাথে জলের ঘনত্বের অনুপাত। এটি নির্ধারণ করে বস্তুটি জলের তুলনায় কতটা ঘন।

. আর্কিমিডিসের সূত্র অনুযায়ী, কোনো বস্তু যখন তরলে সম্পূর্ণ বা আংশিক নিমজ্জিত থাকে, তখন বস্তুটি তার স্থানচ্যুত তরলের ওজনের সমান একটি উত্থাপন বল অনুভব করে, যা বস্তুটিকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়।

. বস্তুটির ঘনত্ব নির্ণয়ের জন্য:

ঘনত্ব (ρ) = ভর (m) / আয়তন (V)

= ০.৮ কিলোগ্রাম / ১০০ সিসি

= ০.৮ কিলোগ্রাম / ০.০০১ মিটার³

= ৮০০ কিলোগ্রাম/মিটার³

. জলের ঘনত্ব ১০০০ কিলোগ্রাম/মিটার³। যেহেতু বস্তুটির ঘনত্ব (৮০০ কিলোগ্রাম/মিটার³) জলের ঘনত্বের চেয়ে কম, তাই বস্তুটি পানিতে ভাসবে।

প্রশ্ন :

একটি ২ কিলোগ্রাম ভরের লোহার টুকরার তাপমাত্রা ৩০°C থেকে ৮০°C পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে ৪৫০০০ জুল তাপের প্রয়োজন হয়।

. তাপমাত্রা ও তাপের মধ্যে পার্থক্য কী?

. তাপের পরিমাণ নির্ণয়ের সূত্র লিখ।

. লোহাের নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতা নির্ণয় করো।

. উক্ত লোহার টুকরাটি ৮০°C থেকে ৩০°C তাপমাত্রায় ঠান্ডা হলে পরিবেশে কত জুল তাপ ত্যাগ করবে?

উত্তর:

. তাপমাত্রা হলো কোনো বস্তুর উষ্ণতার পরিমাপ, যা থার্মোমিটার দিয়ে নির্ণয় করা হয়। অন্যদিকে, তাপ হলো শক্তির একটি রূপ, যা উচ্চ তাপমাত্রার বস্তু থেকে নিম্ন তাপমাত্রার বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়।

. তাপের পরিমাণ নির্ণয়ের সূত্র:

Q = mcΔT

এখানে, Q = তাপের পরিমাণ, m = ভর, c = নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতা, ΔT = তাপমাত্রার পরিবর্তন।

. লোহাের নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতা নির্ণয়:

Q = mcΔT

৪৫০০০ জুল = ২ কিলোগ্রাম × c × (৮০°C – ৩০°C)

৪৫০০০ = ২ × c × ৫০

c = ৪৫০০০ / (২ × ৫০)

c = ৪৫০ জুল/কিলোগ্রাম°C

. লোহার টুকরাটি ৮০°C থেকে ৩০°C তাপমাত্রায় ঠান্ডা হলে ত্যাগকৃত তাপ:

Q = mcΔT

= ২ কিলোগ্রাম × ৪৫০ জুল/কিলোগ্রাম°C × (৮০°C – ৩০°C)

= ২ × ৪৫০ × ৫০

= ৪৫০০০ জুল

অতএব, লোহার টুকরাটি ৪৫০০০ জুল তাপ পরিবেশে ত্যাগ করবে।

প্রশ্ন :

একটি ১ কিলোগ্রাম বরফের টুকরার তাপমাত্রা -১০°C থেকে ০°C তে আনতে এবং সম্পূর্ণ গলাতে কত জুল তাপের প্রয়োজন হবে? বরফের নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতা ২১০০ জুল/কিলোগ্রাম°C এবং নির্দিষ্ট লাতেন্ট হিট ৩৩৪০০০ জুল/কিলোগ্রাম।

. লাতেন্ট হিট কাকে বলে?

. বরফের নির্দিষ্ট লাতেন্ট হিটের মান কী বোঝায়?

. বরফের তাপমাত্রা -১০°C থেকে ০°C তে আনতে প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণ নির্ণয় করো।

. বরফটি সম্পূর্ণ গলাতে অতিরিক্ত কত তাপের প্রয়োজন হবে?

উত্তর:

. লাতেন্ট হিট হলো সেই তাপের পরিমাণ যা কোনো বস্তুর অবস্থা পরিবর্তনের সময় (যেমন কঠিন থেকে তরল বা তরল থেকে গ্যাসে) তার তাপমাত্রা পরিবর্তন না করে শোষিত বা মুক্ত হয়।

. বরফের নির্দিষ্ট লাতেন্ট হিটের মান ৩৩৪০০০ জুল/কিলোগ্রাম বোঝায় যে, ১ কিলোগ্রাম বরফকে ০°C তাপমাত্রায় সম্পূর্ণ গলাতে ৩৩৪০০০ জুল তাপের প্রয়োজন হয়।

. বরফের তাপমাত্রা -১০°C থেকে ০°C তে আনতে প্রয়োজনীয় তাপ:

Q₁ = mcΔT

= ১ কিলোগ্রাম × ২১০০ জুল/কিলোগ্রাম°C × (০°C – (-১০°C))

= ১ × ২১০০ × ১০

= ২১০০০ জুল

. বরফটি সম্পূর্ণ গলাতে প্রয়োজনীয় তাপ:

Q₂ = mL

= ১ কিলোগ্রাম × ৩৩৪০০০ জুল/কিলোগ্রাম

= ৩৩৪০০০ জুল

মোট প্রয়োজনীয় তাপ:

Q = Q₁ + Q₂

= ২১০০০ জুল + ৩৩৪০০০ জুল

= ৩৫৫০০০ জুল

অতএব, বরফের টুকরাটিকে -১০°C থেকে ০°C তে আনতে এবং সম্পূর্ণ গলাতে মোট ৩৫৫০০০ জুল তাপের প্রয়োজন হবে।

প্রশ্ন :

একজন ব্যক্তি একটি পাহাড়ের ১৭ মিটার সামনে দাঁড়িয়ে শব্দ করে এবং ১.০৮৫৭ সেকেন্ড পরে তার প্রতিধ্বনি শুনতে পান। তাপমাত্রা ২০°C।

. বিস্তার কাকে বলে?

. সকল প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কেন?

. প্রদত্ত তাপমাত্রায় বায়ুতে শব্দের বেগ নির্ণয় করো।

. উক্ত ব্যক্তির অবস্থান থেকে পাহাড়ের দূরত্ব নির্ণয় করো।

উত্তর:

. বিস্তার হলো তরঙ্গের সর্বোচ্চ স্থানচ্যুতি, যা ভারসাম্য অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ অবস্থান পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়।

. সকল প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কারণ প্রতিধ্বনি শুনতে পেতে হলে শব্দের উৎস ও প্রতিবন্ধকের মধ্যে ন্যূনতম ১৭ মিটার দূরত্ব থাকতে হয়। এছাড়া, প্রতিবন্ধকের পৃষ্ঠ মসৃণ ও শক্ত হওয়া প্রয়োজন।

. বায়ুতে শব্দের বেগ নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত সূত্র প্রয়োগ করা হয়:

v = ৩৩১ + ০.৬ × T

এখানে, T = তাপমাত্রা (°C)

তাহলে, v = ৩৩১ + ০.৬ × ২০ = ৩৩১ + ১২ = ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড

. প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়ার সময় (t) = ১.০৮৫৭ সেকেন্ড

প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়ার সময় হলো শব্দের উৎস থেকে প্রতিবন্ধক পর্যন্ত এবং ফিরে আসার মোট সময়।

তাহলে, উৎস থেকে প্রতিবন্ধকের দূরত্ব (d):

d = (v × t) / ২

= (৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড × ১.০৮৫৭ সেকেন্ড) / ২

= ৩৭২.৪৬ / ২

= ১৮৬.২৩ মিটার

অতএব, ব্যক্তির অবস্থান থেকে পাহাড়ের দূরত্ব ১৮৬.২৩ মিটার।

প্রশ্ন :

বিদ্যুৎ চমক দেখার ৪ সেকেন্ড পর মাটিতে দাঁড়ানো একজন ব্যক্তি বজ্রের শব্দ শুনতে পেলেন। এর ঠিক ২ সেকেন্ড পরে পানির নিচে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি বজ্রের শব্দ শুনতে পেলেন। বায়ুর তাপমাত্রা ২০°C।

. মানুষের শ্রাব্যতার সীমা কত?

. সকল প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কেন?

. প্রদত্ত তাপমাত্রায় বায়ুতে শব্দের বেগ নির্ণয় করো।

. শব্দের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:

. মানুষের শ্রাব্যতার সীমা ২০ হার্জ থেকে ২০,০০০ হার্জ পর্যন্ত।

. সকল প্রতিফলিত শব্দের প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কারণ প্রতিধ্বনি শুনতে পেতে হলে শব্দের উৎস ও প্রতিবন্ধকের মধ্যে ন্যূনতম ১৭ মিটার দূরত্ব থাকতে হয়। এছাড়া, প্রতিবন্ধকের পৃষ্ঠ মসৃণ ও শক্ত হওয়া প্রয়োজন।

. বায়ুতে শব্দের বেগ নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত সূত্র প্রয়োগ করা হয়:

v = ৩৩১ + ০.৬ × T

এখানে, T = তাপমাত্রা (°C)

তাহলে, v = ৩৩১ + ০.৬ × ২০ = ৩৩১ + ১২ = ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড

. প্রথম ব্যক্তি বজ্রপাতের ৪ সেকেন্ড পরে শব্দ শুনেছেন, তাই তার দূরত্ব:

d₁ = v × t₁

= ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড × ৪ সেকেন্ড

= ১৩৭২ মিটার

দ্বিতীয় ব্যক্তি ২ সেকেন্ড পরে শব্দ শুনেছেন, তাই তার দূরত্ব:

d₂ = v × t₂

= ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড × ২ সেকেন্ড

= ৬৮৬ মিটার

অতএব, প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব:

d = d₁ – d₂

= ১৩৭২ মিটার – ৬৮৬ মিটার

= ৬৮৬ মিটার

উপরোক্ত প্রশ্ন ও উত্তরগুলো অধ্যায় ৭ ‘তরঙ্গ ও শব্দ’ সম্পর্কিত বোর্ড পরীক্ষায় আসার সম্ভ

প্রশ্ন :

মিতা ও তার সহপাঠীরা স্কুলের ল্যাবের দরজায় দাঁড়িয়ে ১০ সেন্টিমিটার বক্রতার ব্যাসার্ধের একটি দর্পণ নিয়ে স্কুল মাঠের অপর প্রান্তের একটি গাছের প্রতিবিম্ব একটি মসৃণ সাদা দেয়ালের উপর স্পষ্টভাবে ফেলল।

. প্রতিবিম্ব কাকে বলে?

. সমতল দর্পণে আলো লম্বভাবে আপতিত হলে আলোক রশ্মি একই পথে ফিরে আসে কেন?

. উদ্দীপকের বিষয়টির রশ্মি চিত্র আঁক এবং প্রতিবিম্বের দূরত্ব নির্ণয় করো।

. মিতা প্রদত্ত দর্পণের পরিবর্তে একটি উত্তল দর্পণ ব্যবহার করে বিম্ব গঠন করতে পারবে কিনা তা চিত্রের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:

. প্রতিবিম্ব হলো কোনো বস্তুর প্রতিফলিত আলোর মাধ্যমে সৃষ্ট চিত্র, যা আয়না বা দর্পণের উপর দেখা যায়।

. সমতল দর্পণে আলো লম্বভাবে আপতিত হলে আপতন কোণ শূন্য হয়, ফলে প্রতিফলন কোণও শূন্য হয়। তাই আলোক রশ্মি একই পথে ফিরে আসে।

. দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ (R) = ১০ সেন্টিমিটার, ফোকাস দূরত্ব (f) = R/2 = ৫ সেন্টিমিটার।

রশ্মি চিত্র:

বস্তুটি যদি ফোকাসের বাইরে থাকে, তবে প্রতিবিম্ব বাস্তব, উল্টো এবং আকারে বড় হবে।

. উত্তল দর্পণে সব সময় খর্বিত, সোজা ও অবাস্তব প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। তাই মিতা উত্তল দর্পণ ব্যবহার করে গাছের স্পষ্ট প্রতিবিম্ব পাবে না।

প্রশ্ন :

একটি অবতল দর্পণের বক্রতার ব্যাসার্ধ ৩০ সেন্টিমিটার। দর্পণ হতে কিছু দূরে একটি বস্তু রাখলে বস্তুটির একটি অবাস্তব ও দ্বিগুণ বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত দর্পণের পরিবর্তে একটি উত্তল দর্পণ রাখা হয়। লক্ষ্যবস্তুর দৈর্ঘ্য ৫ সেন্টিমিটার।

. দর্পণ কী?

. অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলা হয় কেন?

. রৈখিক বিবর্ধন নির্ণয় করো।

. দর্পণটি থেকে ৫ সেন্টিমিটার দূরে কোনো বস্তু রাখলে প্রতিবিম্ব বাস্তব হবে নাকি অবাস্তব হবে? গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মতামত দাও।

উত্তর:

. দর্পণ হলো একটি মসৃণ প্রতিফলক পৃষ্ঠ, যা আলোকে প্রতিফলিত করে এবং বস্তুগুলোর প্রতিবিম্ব তৈরি করে।

. অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলা হয় কারণ এটি আপতিত আলোক রশ্মিকে প্রতিফলনের পর একটি বিন্দুতে মিলিত করে।

. বক্রতার ব্যাসার্ধ (R) = ৩০ সেন্টিমিটার, ফোকাস দূরত্ব (f) = R/2 = ১৫ সেন্টিমিটার।

বস্তু দূরত্ব (u) = -f/2 = -৭.৫ সেন্টিমিটার।

দর্পণের সূত্র: 1/f = 1/v + 1/u

1/15 = 1/v – 1/7.5

1/v = 1/15 + 1/7.5 = 1/5

v = 5 সেন্টিমিটার।

রৈখিক বিবর্ধন (m) = -v/u = -5/(-7.5) = 2/3।

. বস্তু দূরত্ব (u) = -৫ সেন্টিমিটার।

1/f = 1/v + 1/u

1/15 = 1/v – 1/5

1/v = 1/15 + 1/5 = 4/15

v = 15/4 = ৩.৭৫ সেন্টিমিটার।

প্রতিবিম্ব দূরত্ব ধনাত্মক, অর্থাৎ প্রতিবিম্ব বাস্তব হবে।

প্রশ্ন :

আরিয়ানা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার আগে আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে এবং প্রতিবারই একটি বিষয় খেয়াল করল যে, সে যত আয়নার কাছে আসে প্রতিচ্ছবিও তত কাছে আসে, আয়না থেকে যত দূরে যায় প্রতিচ্ছবিও তত দূরে চলে যায়।

. আলোর প্রতিফলন কী?

. সমতল দর্পণে প্রতিবিম্ব কেমন হয়?

. আরিয়ানা যে আয়নায় নিজেকে দেখে সেটি কোন ধরনের দর

প্রশ্ন :

লাবু ইদানীং চোখে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে না। তার বড় ভাই সব শুনে বলল লাবুর চোখের লেন্সের ক্ষমতা বেশি বেড়ে গেছে। তাই সে চশমা ব্যবহার করা শুরু করল এবং জানতে পেল তার চশমার উপাদানের ভেতর আলোর বেগ 2.5 × 10^8 মিটার/সেকেন্ড। সে আরও জানে শূন্যস্থানে ও বাতাসে আলোর বেগের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

. আলোক কেন্দ্র কী?

. কীভাবে উত্তল ও অবতল লেন্স স্পর্শ না করে আলাদা করা যায়?

. চশমার উপাদানের সাপেক্ষে বাতাসের ক্লান্তি কোণ নির্ণয় করো।

. লাবুর চোখের সমস্যাটি কী হতে পারে? এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যুক্তি দাও।

উত্তর:

. আলোক কেন্দ্র হলো লেন্সের সেই বিন্দু যেখানে প্রধান অক্ষ লেন্সকে ছেদ করে। এটি লেন্সের জ্যামিতিক কেন্দ্র।

. উত্তল ও অবতল লেন্স স্পর্শ না করে আলাদা করার জন্য লেন্সের আকার ও প্রান্তের পুরুত্ব দেখা যায়। উত্তল লেন্সের মাঝখান পুরু এবং প্রান্ত সরু হয়, আর অবতল লেন্সের মাঝখান সরু এবং প্রান্ত পুরু হয়।

. চশমার উপাদানের প্রতিসরণাঙ্ক (n) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

n = c / v

এখানে, c = শূন্যস্থানে আলোর বেগ = 3 × 10^8 মিটার/সেকেন্ড,

v = চশমার উপাদানের মধ্যে আলোর বেগ = 2.5 × 10^8 মিটার/সেকেন্ড।

তাহলে, n = (3 × 10^8) / (2.5 × 10^8) = 1.2।

ক্লান্তি কোণ (C) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

sin C = 1 / n

তাহলে, sin C = 1 / 1.2 = 0.833।

C = sin⁻¹(0.833) ≈ 56°।

. লাবুর চোখের সমস্যাটি হতে পারে মায়োপিয়া বা নিকটদৃষ্টি। এই অবস্থায় চোখের লেন্সের ক্ষমতা বেড়ে যায়, ফলে দূরের বস্তু স্পষ্ট দেখা যায় না। এর প্রতিকার হিসেবে অবতল (concave) লেন্সের চশমা ব্যবহার করা হয়, যা আলোর রশ্মিকে ছড়িয়ে দিয়ে চোখের রেটিনায় সঠিকভাবে ফোকাস করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন :

নবম শ্রেণীর ছাত্রী অর্পিতা কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। তাই সে ডাক্তারের পরামর্শ মতে ৫০ সেন্টিমিটার ফোকাস দূরত্বের লেন্সের চশমা ব্যবহার শুরু করল।

. প্রতিসরণাঙ্ক কাকে বলে?

. উত্তল লেন্সের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী?

. অর্পিতার চশমার লেন্সের ক্ষমতা নির্ণয় করো।

. অর্পিতার চোখের সমস্যাটি কী হতে পারে? এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর:

. প্রতিসরণাঙ্ক হলো কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত, যা শূন্যস্থানে আলোর বেগের সাথে ওই মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত দ্বারা নির্ধারিত হয়।

. উত্তল লেন্সের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • মাঝখানে পুরু এবং প্রান্তে সরু।
  • সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে।
  • বাস্তব ও অবাস্তব উভয় ধরনের প্রতিবিম্ব তৈরি করতে পারে।

. লেন্সের ক্ষমতা (P) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

P = 1 / f

এখানে, f = ফোকাস দূরত্ব (মিটার) = ৫০ সেন্টিমিটার = ০.৫ মিটার।

তাহলে, P = 1 / 0.5 = +2 ডায়োপ্টার।

. অর্পিতার চোখের সমস্যাটি হতে পারে হাইপারমেট্রোপিয়া বা দূরদৃষ্টি। এই অবস্থায় চোখের লেন্সের ক্ষমতা কমে যায়, ফলে কাছের বস্তু স্পষ্ট দেখা যায় না। এর প্রতিকার হিসেবে উত্তল (convex) লেন্সের চশমা ব্যবহার করা হয়, যা আলোর রশ্মিকে অভিসারী করে চোখের রেটিনায় সঠিকভাবে ফোকাস করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন :

একটি ১০ কুলম্ব আধানের বস্তু ভূমি থেকে ৫ সেমি উপরে স্থির অবস্থায় রয়েছে। নিচে ভূমিতে ১০০ কুলম্ব আধানের আরেকটি বস্তু রয়েছে।

. তড়িৎ বিভব কী?

. কুলম্বের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।

. প্রথম বস্তুটির ভর নির্ণয় করো।

. বস্তু দুটির মধ্যে কোথায় ৪০০ ইলেকট্রন স্থির থাকবে?

উত্তর:

. তড়িৎ বিভব হলো কোনো বিন্দুতে একক ধনাত্মক আধান স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজের পরিমাণ।

. কুলম্বের সূত্র অনুযায়ী, দুটি বিন্দু আধানের মধ্যে বলের মান তাদের আধানের গুণফল এবং তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের সমানুপাতিক।

. প্রথম বস্তুটির ভর নির্ণয় করতে হলে তার আধান, ভৌত অবস্থা এবং অন্যান্য তথ্য প্রয়োজন।

. বস্তু দুটির মধ্যে নিরপেক্ষ বিন্দু নির্ণয় করতে তাদের আধানের অনুপাত এবং মধ্যবর্তী দূরত্বের তথ্য প্রয়োজন।

প্রশ্ন :

A ও B সম আয়তনের দুটি আধানিত বস্তু, যথাক্রমে ৫০ কুলম্ব ও ৩৬ কুলম্ব, পরস্পরকে ৪.৫ × ১০¹¹ নিউটন বিকর্ষণ বল অনুভব করে।

. তড়িৎ ক্ষেত্রের তীব্রতা কী?

. পৃথিবীর বিভব শূন্য ধরা হয় কেন?

. বস্তু দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয় করো।

. A ও B বস্তু দুটি একটি পরিবাহী দ্বারা যুক্ত করলে বিকর্ষণ বলের কোনো পরিবর্তন হবে কী?

উত্তর:

. তড়িৎ ক্ষেত্রের তীব্রতা নির্ণয় করতে কুলম্বের সূত্র ব্যবহার করা হয়।

. পৃথিবীর বিভব শূন্য ধরা হয় কারণ পৃথিবী একটি বৃহৎ আধানের মতো আচরণ করে, যা স্থানীয় তড়িৎ ক্ষেত্রের তীব্রতাকে শূন্য করে।

. বস্তু দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয় করতে কুলম্বের সূত্র ব্যবহার করা হয়।

. A ও B বস্তু দুটি একটি পরিবাহী দ্বারা যুক্ত করলে তাদের আধান সমানুপাতিকভাবে বণ্টিত হবে, ফলে বিকর্ষণ বলের মান পরিবর্তিত হবে।

প্রশ্ন :

+৯০ কুলম্ব এবং -২৫ কুলম্ব আধানের দুটি বস্তু পরস্পরকে ৩.১৬৪ × ১০¹² নিউটন আকর্ষণ বল অনুভব করে।

. তড়িৎ আবেশ কী?

. সলিনয়েড দণ্ড চুম্বকের মতো আচরণ করে কেন?

. চার্জ দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয় করো।

. চার্জ দুটির সংযোজক সরলরেখায় কোথায় নিরপেক্ষ বিন্দু থাকবে?

উত্তর:

. তড়িৎ আবেশ হলো কোনো আধানের কারণে সৃষ্ট তড়িৎ ক্ষেত্রের শক্তি।

. সলিনয়েড দণ্ড চুম্বকের মতো আচরণ করে কারণ এর অভ্যন্তরীণ তড়িৎ ক্ষেত্রের কারণে এটি চুম্বকীয় প্রভাব সৃষ্টি করে।

. চার্জ দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয় করতে কুলম্বের সূত্র ব্যবহার করা হয়।

. চার্জ দুটির সংযোজক সরলরেখায় নিরপেক্ষ বিন্দু নির্ণয় করতে তাদের আধানের অনুপাত এবং মধ্যবর্তী দূরত্বের তথ্য প্রয়োজন।

প্রশ্ন :

A ও B ধনাত্মক আধানিত দুটি বস্তু পরস্পর থেকে ২ মিটার দূরে অবস্থিত। বস্তু দুটির আধান যথাক্রমে ২০ কুলম্ব ও ৪০ কুলম্ব।

. ধারকত্ব কী?

. আবেশ প্রক্রিয়ায় একটি অনাহিত বস্তুকে আধানিত করা যায় কীভাবে?

. বস্তু দুটির মধ্যবর্তী বলের মান নির্ণয় করো।

. আধানের প্রবাহ আধানের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না বরং বিভব পার্থক্যের উপর নির্ভর করে কেন?

উত্তর:

. ধারকত্ব হলো কোনো পরিবাহীর আধান ধারণ করার ক্ষমতা।

. আবেশ প্রক্রিয়ায় একটি অনাহিত বস্তুকে আধানিত করতে তাকে কোনো আধানিত বস্তুর সাথে সংস্পর্শে এনে তার আধানের কিছু অংশ গ্রহণ করানো হয়।

. বস্তু দুটির মধ্যবর্তী বলের মান কুলম্বের সূত্র ব্যবহার করে নির্ণয় করা হয়।

. আধানের প্রবাহ বিভব পার

প্রশ্ন :

একটি সার্কিটে ১০ ভোল্ট বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হয়েছে। সার্কিটের রোধ ৫ ওহম। সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয় করো।

উত্তর:

ওহমের সূত্র অনুযায়ী, I = V / R

এখানে, V = ১০ ভোল্ট, R = ৫ ওহম

তাহলে, I = ১০ / ৫ = ২ অ্যাম্পিয়ার

অতএব, সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ২ অ্যাম্পিয়ার।

প্রশ্ন :

একটি সার্কিটে ২০ ওহম রোধের রোধক এবং ১০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যের ব্যাটারি সংযুক্ত করা হয়েছে। সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের শক্তি হার নির্ণয় করো।

উত্তর:

শক্তি হার (P) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

P = I² × R

প্রথমে, তড়িৎ প্রবাহ (I) নির্ণয় করি:

I = V / R = ১০ / ২০ = ০.৫ অ্যাম্পিয়ার

তাহলে, P = (০.৫)² × ২০ = ০.২৫ × ২০ = ৫ ওয়াট

অতএব, সার্কিটে শক্তি হার ৫ ওয়াট।

প্রশ্ন :

একটি সার্কিটে ১০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যের ব্যাটারি, ৫ ওহম রোধের রোধক এবং ২ ওহম রোধের রোধক সিরিজভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয় করো।

উত্তর:

সিরিজ সার্কিটে মোট রোধ (R_total) হয়:

R_total = R₁ + R₂ = ৫ + ২ = ৭ ওহম

তড়িৎ প্রবাহ (I) নির্ণয় করা যায়:

I = V / R_total = ১০ / ৭ ≈ ১.৪৩ অ্যাম্পিয়ার

অতএব, সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ প্রায় ১.৪৩ অ্যাম্পিয়ার।

প্রশ্ন :

একটি সার্কিটে ১০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যের ব্যাটারি, ৫ ওহম রোধের রোধক এবং ২ ওহম রোধের রোধক প্যারালালভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয় করো।

উত্তর:

প্যারালাল সার্কিটে মোট রোধ (R_total) হয়:

1 / R_total = 1 / R₁ + 1 / R₂ = 1 / ৫ + 1 / ২ = ০.২ + ০.৫ = ০.৭

R_total = ১ / ০.৭ ≈ ১.৪৩ ওহম

তড়িৎ প্রবাহ (I) নির্ণয় করা যায়:

I = V / R_total = ১০ / ১.৪৩ ≈ ৭.০১ অ্যাম্পিয়ার

অতএব, সার্কিটে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ প্রায় ৭.০১ অ্যাম্পিয়ার।

প্রশ্ন :

একটি সার্কিটে ১০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যের ব্যাটারি, ৫ ওহম রোধের রোধক এবং ২ ওহম রোধের রোধক সিরিজভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। সার্কিটে শক্তি হার নির্ণয় করো।

উত্তর:

সিরিজ সার্কিটে মোট রোধ (R_total) হয়:

R_total = R₁ + R₂ = ৫ + ২ = ৭ ওহম

তড়িৎ প্রবাহ (I) নির্ণয় করা যায়:

I = V / R_total = ১০ / ৭ ≈ ১.৪৩ অ্যাম্পিয়ার

শক্তি হার (P) নির্ণয় করা যায়:

P = I² × R_total = (১.৪৩)² × ৭ ≈ ২.০৪ × ৭ ≈ ১৪.২৮ ওয়াট

অতএব, সার্কিটে শক্তি হার প্রায় ১৪.২৮ ওয়াট।

প্রশ্ন :

একটি সার্কিটে ১০ ভোল্ট বিভব পার্থক্যের ব্যাটারি, ৫ ওহম রোধের রোধক এবং ২ ওহম রোধের রোধক প্যারালালভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। সার্কিটে শক্তি হার নির্ণয় করো।

উত্তর:

প্যারালাল সার্কিটে মোট রোধ (R_total) হয়:

1 / R_total = 1 / R₁ + 1 / R₂ = 1 / ৫ + 1 / ২ = ০.২ + ০.৫ = ০

প্রশ্ন :

একটি সলিনয়েডের দৈর্ঘ্য ২০ সেমি, ব্যাস ৫ সেমি এবং তারের প্যাঁচের সংখ্যা ১০০০। সলিনয়েডে ২ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা নির্ণয় করো।

উত্তর:

সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা (H) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

H = (N × I) / L

এখানে, N = ১০০০, I = ২ অ্যাম্পিয়ার, L = ২০ সেমি = ০.২ মিটার

তাহলে, H = (১০০০ × ২) / ০.২ = ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার

অতএব, সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার।

প্রশ্ন :

একটি সলিনয়েডের দৈর্ঘ্য ২০ সেমি, ব্যাস ৫ সেমি এবং তারের প্যাঁচের সংখ্যা ১০০০। সলিনয়েডে ২ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা নির্ণয় করো।

উত্তর:

সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা (H) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

H = (N × I) / L

এখানে, N = ১০০০, I = ২ অ্যাম্পিয়ার, L = ২০ সেমি = ০.২ মিটার

তাহলে, H = (১০০০ × ২) / ০.২ = ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার

অতএব, সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার।

প্রশ্ন :

একটি সলিনয়েডের দৈর্ঘ্য ২০ সেমি, ব্যাস ৫ সেমি এবং তারের প্যাঁচের সংখ্যা ১০০০। সলিনয়েডে ২ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা নির্ণয় করো।

উত্তর:

সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা (H) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

H = (N × I) / L

এখানে, N = ১০০০, I = ২ অ্যাম্পিয়ার, L = ২০ সেমি = ০.২ মিটার

তাহলে, H = (১০০০ × ২) / ০.২ = ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার

অতএব, সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার।

প্রশ্ন :

একটি সলিনয়েডের দৈর্ঘ্য ২০ সেমি, ব্যাস ৫ সেমি এবং তারের প্যাঁচের সংখ্যা ১০০০। সলিনয়েডে ২ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা নির্ণয় করো।

উত্তর:

সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা (H) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

H = (N × I) / L

এখানে, N = ১০০০, I = ২ অ্যাম্পিয়ার, L = ২০ সেমি = ০.২ মিটার

তাহলে, H = (১০০০ × ২) / ০.২ = ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার

অতএব, সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার।

প্রশ্ন :

একটি সলিনয়েডের দৈর্ঘ্য ২০ সেমি, ব্যাস ৫ সেমি এবং তারের প্যাঁচের সংখ্যা ১০০০। সলিনয়েডে ২ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হলে এর চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা নির্ণয় করো।

উত্তর:

সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা (H) নির্ণয় করা যায় নিম্নলিখিত সূত্র থেকে:

H = (N × I) / L

এখানে, N = ১০০০, I = ২ অ্যাম্পিয়ার, L = ২০ সেমি = ০.২ মিটার

তাহলে, H = (১০০০ × ২) / ০.২ = ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার

অতএব, সলিনয়েডের চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা ১০,০০০ অ্যাম্পিয়ার/মিটার।

বর্তনী ও ইলেকট্রনিক্সবিষয়বস্তু

  1. বৈদ্যুতিক বর্তনী ও এর উপাদান
  2. ওহমের সূত্র
  3. কির্চহফের সূত্র
  4. বৈদ্যুতিক শক্তি ও ক্ষমতা
  5. ধারাবাহিক (Series) ও সমান্তরাল (Parallel) বর্তনী
  6. অর্ধপরিবাহী ও এর প্রকারভেদ
  7. ডায়োড ও এর ব্যবহার
  8. ট্রানজিস্টর ও এর কার্যপ্রণালী
  9. লজিক গেইট ও এর প্রকারভেদ
  10. ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও বর্তমান প্রযুক্তিতে এর ব্যবহার

বর্তনী ও ইলেকট্রনিক্স – সংক্ষিপ্ত সূত্র ও উত্তর

  1. বৈদ্যুতিক বর্তনী ও এর উপাদান: বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য একটি সম্পূর্ণ পথ যেখানে রোধ, ব্যাটারি, সুইচ ইত্যাদি থাকে।
  2. ওহমের সূত্র: V=IR যেখানে V = বিভব পার্থক্য, I = প্রবাহিত বিদ্যুৎ, R = রোধ।
  3. কির্চহফের সূত্র:
    • প্রথম সূত্র: প্রবাহিত কারেন্টের সমষ্টি কোনো সংযোগ বিন্দুতে শূন্য হয়।
    • দ্বিতীয় সূত্র: একটি বন্ধ বর্তনীতে বিভব পার্থকের সমষ্টি শূন্য হয়।
  4. বৈদ্যুতিক শক্তি ও ক্ষমতা:
    • শক্তি, W=VIt
    • ক্ষমতা, P=VI=I^2R=V^2/R
  5. ধারাবাহিক ও সমান্তরাল বর্তনী:
    • ধারাবাহিক: Req=R1+R2+R3+…R_
    • সমান্তরাল: 1/Req=1/R1+1/R2+1/R3+……
  6. অর্ধপরিবাহী ও এর প্রকারভেদ: বিশুদ্ধ (Intrinsic) ও মিশ্রিত (Extrinsic – N-type, P-type) অর্ধপরিবাহী।
  7. ডায়োড ও এর ব্যবহার: P-N জংশন ডায়োড একমুখীভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে, রেক্টিফায়ার, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  8. ট্রানজিস্টর ও এর কার্যপ্রণালী: NPN বা PNP ট্রানজিস্টর সংকেত পরিবর্ধন ও সুইচিং কাজে ব্যবহৃত হয়।
  9. লজিক গেইট ও এর প্রকারভেদ: AND, OR, NOT, NAND, NOR, XOR, XNOR – বুলিয়ান অ্যালজেব্রার ভিত্তিতে ডিজিটাল লজিক নিয়ন্ত্রণ করে।
  10. ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও বর্তমান প্রযুক্তিতে এর ব্যবহার: কম্পিউটার, মোবাইল, রোবটিক্স, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদিতে ইলেকট্রনিক্স ব্যবহৃত হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – বিষয়বস্তু

  1. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
  2. ডিজিটাল সংকেত ও এনালগ সংকেত
  3. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও এর প্রকারভেদ (LAN, MAN, WAN)
  4. ইন্টারনেট ও ওয়েব প্রযুক্তি
  5. ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি (Wi-Fi, Bluetooth, Mobile Network)
  6. মোবাইল যোগাযোগ ও প্রজন্ম (2G, 3G, 4G, 5G)
  7. সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা
  8. ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ক্লাউড কম্পিউটিং
  9. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার (শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, বিনোদন, ব্যাংকিং)
  10. গণমাধ্যম ও মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – সংক্ষিপ্ত উত্তর

  1. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংজ্ঞা ও গুরুত্ব: তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের প্রযুক্তি, যা শিক্ষা, ব্যবসা ও দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।
  2. ডিজিটাল সংকেত ও এনালগ সংকেত: এনালগ সংকেত ধারাবাহিক, আর ডিজিটাল সংকেত বিচ্ছিন্ন ও বাইনারি (0 ও 1)।
  3. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও এর প্রকারভেদ: LAN (স্বল্প পরিসরে), MAN (মাঝারি পরিসরে), WAN (বিশ্বব্যাপী)।
  4. ইন্টারনেট ও ওয়েব প্রযুক্তি: ইন্টারনেট হল নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক, ওয়েব প্রযুক্তি হলো ওয়েবসাইট ও ব্রাউজারের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়।
  5. ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি: তারবিহীন প্রযুক্তি যেমন Wi-Fi, Bluetooth, Infrared, Radio Waves।
  6. মোবাইল যোগাযোগ ও প্রজন্ম: 2G (ভয়েস কল), 3G (ভিডিও কল), 4G (ফাস্ট ইন্টারনেট), 5G (উচ্চ গতির স্মার্ট কানেক্টিভিটি)।
  7. সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা: ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষায় ফায়ারওয়াল, এনক্রিপশন, অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
  8. ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ক্লাউড কম্পিউটিং: ই-মেইল দ্রুত বার্তা পাঠায়, সোশ্যাল মিডিয়া যোগাযোগের মাধ্যম, ক্লাউড কম্পিউটিং অনলাইন ডাটা স্টোরেজ।
  9. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষা (ই-লার্নিং), স্বাস্থ্য (টেলিমেডিসিন), ব্যবসা (ই-কমার্স), ব্যাংকিং (অনলাইন লেনদেন), বিনোদন (স্ট্রিমিং)।
  10. গণমাধ্যম ও মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি: টেলিভিশন, রেডিও, সিনেমা ও ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রযুক্তি যা অডিও, ভিডিও ও গ্রাফিক্স সংযুক্ত করে।

SSC Physics || এসএসসি পদার্থবিদ্যা

অধ্যায়-১: ভৌত রাশি এবং পরিমাপ

অধ্যায়-২:গতি

অধ্যায়-৩:বল

অধ্যায়-৪:কাজ-শক্তি-ক্ষমতা

অধ্যায়-৫:পদার্থের অবস্থা ও চাপ

অধ্যায়-৬:বস্তুর ওপর তাপের প্রভাব

অধ্যায়-৭:তরঙ্গ ও শব্দ

অধ্যায়-৮:আলোর প্রতিফলন

অধ্যায়-৯:আলোর প্রতিসরণ

অধ্যায়-১০:স্থির বিদ্যুৎ

অধ্যায়-১১:চল বিদ্যুৎ

অধ্যায়-১২:বিদ্যুতের চৌম্বক ক্রিয়া

অধ্যায়-১৩:আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স

অধ্যায়-১৩:আধুনিক পদার্থবিজ্ঞা

Leave a Comment