SSC পদার্থবিজ্ঞান: ৪র্থ অধ্যায় MCQ

SSC পদার্থবিজ্ঞান: ৪র্থ অধ্যায় MCQ কাজ ক্ষমতা শক্তি এই অধ্যায় চারটি প্রশ্ন আছে । Board MCQ এই চারটি প্রশ্নের নিচে দেয়া হয়েছে। প্রিয় ছাত্র ছাত্রী , দয়া করে আগে এই চারটি প্রশ্ন পড় তারপর Board MCQ Practice করো।

সারমর্ম (Summary)

১। কাজ এর সংজ্ঞা, সমীকর, একক ও মাত্রা সমীকরণ নির্ণয় কর

.২। শক্তি কি স্মৃতিশক্তি ও গতিশক্তি সম্পর্কে বর্ণনা কর ।

৩। ক্ষমতা কি এর সংজ্ঞা, সমীকর, একক ও মাত্রা সমীকরণ সম্পর্কে লেখ ।

৪। কর্মদক্ষতা সম্পর্কে বর্ণনা কর।

উত্তরঃ

১। কাজ (Work) এর সংজ্ঞা, সমীকরণ, একক ও মাত্রা সমীকরণ

সংজ্ঞা:

কোনো বস্তুতে বল প্রয়োগ করলে যদি তা বলের দিক বরাবর সরণ করে, তবে সেই বলের দ্বারা কাজ সম্পন্ন হয়।

গাণিতিক সমীকরণ:

W=F⋅d⋅cos⁡θ

যেখানে,

• WWW = কাজ (Joule)
• F = প্রয়োগকৃত বল (Newton)
• d = বস্তুটির সরণ (meter)
• θ = বল ও সরণের মধ্যে কোণ

একক:

• এস.আই. একক = Joule (J)
• সি.জি.এস. একক = Erg
• ১ Joule = 10^7 Erg

মাত্রা সমীকরণ:

[W]=[M1L2T−2]

---

২। শক্তি (Energy) ও তার প্রকারভেদ

সংজ্ঞা:

কোনো বস্তু কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতা রাখলে তাকে শক্তি বলে।

🔹 একক:

• এস.আই. একক = Joule (J)
• সি.জি.এস. একক = Erg

শক্তির প্রকারভেদ:

(ক) গতিশক্তি (Kinetic Energy)

যে শক্তি কোনো বস্তু তার গতির কারণে ধারণ করে, তাকে গতিশক্তি বলে।

🔹 সমীকরণ:KE=12mv2

যেখানে,

• KE = গতিশক্তি
• m = বস্তুটির ভর
• v = বস্তুটির বেগ

🔹 উদাহরণ:

• চলন্ত গাড়ির শক্তি
• নদীর প্রবাহমান পানির শক্তি

(খ) বিভব শক্তি (Potential Energy)

যে শক্তি কোনো বস্তু তার অবস্থানের কারণে ধারণ করে, তাকে বিভব শক্তি বলে।

🔹 সমীকরণ:PE=mgh

যেখানে,

• PE = বিভব শক্তি
• m = বস্তুটির ভর
• g = মহাকর্ষজ ত্বরণ
• h = উচ্চতা

🔹 উদাহরণ:

• উঁচু পাহাড়ের ওপর রাখা পাথর
• প্রসারিত বসন্ত

---

৩। ক্ষমতা (Power) এর সংজ্ঞা, সমীকরণ, একক ও মাত্রা সমীকরণ

সংজ্ঞা:

কোনো কাজ সম্পন্ন করার হারকে ক্ষমতা বলে।

গাণিতিক সমীকরণ:

P=Wt

যেখানে,

• P = ক্ষমতা (Watt)
• W = সম্পন্ন কাজ (Joule)
• t = সময় (second)

একক:

• এস.আই. একক = Watt (W)
• ১ Watt = 1 Joule/second
• বড় একক: কিলোওয়াট (kW), মেগাওয়াট (MW), গিগাওয়াট (GW)

মাত্রা সমীকরণ:

[P]=[M1L2T−3]

---

৪। কর্মদক্ষতা (Efficiency)

সংজ্ঞা:

কোনো যন্ত্রের আউটপুট শক্তি ও ইনপুট শক্তির অনুপাতকে কর্মদক্ষতা বলে।

🔹 গাণিতিক সমীকরণ:η=(প্রাপ্ত আউটপুট শক্তিপ্রদত্ত ইনপুট শক্তি)×100%\eta = \left(\frac{\text{প্রাপ্ত আউটপুট শক্তি}}{\text{প্রদত্ত ইনপুট শক্তি}}\right) \times 100\%η=(প্রদত্ত ইনপুট শক্তিপ্রাপ্ত আউটপুট শক্তি​)×100%

🔹 একক: কর্মদক্ষতা শতকরা (%) হারে প্রকাশ করা হয়।

🔹 উদাহরণ:

• ১০০ ওয়াটের একটি বাতি যদি ৮০ ওয়াট আলোতে রূপান্তর করে, তবে তার কর্মদক্ষতা ৮০%।
• অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা কম, কারণ এতে অনেক শক্তি তাপে অপচয় হয়।

---